বাংলাদেশে জুলাই মাসে করোনা আক্রান্তের ৯৮ শতাংশের শরীরে ভয়ংকর ডেলটা ভেরিয়েন্ট এর অস্তিত্ব পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড্ক্টর শারফুদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিল্টন হলে করোনা ভাইরাসের জিনোম সিকোয়েন্সিং গবেষণার ফল প্রকাশের সময় তিনি এ তথ্য জানান।
উপাচার্য বলেন, গবেষণায় দেশের সব বিভাগ থেকে স্যাম্পলিং করা হয়।
গবেষণায় মোট ৩০০ করোনা আক্রান্ত রোগীর ন্যাযোফ্যারিনজিয়াল সোয়াব স্যাম্পল থেকে নেক্সট জেনারেশন সিকোয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে করোনা ভাইরাসের জেনোম সিকোয়েন্সিং করা হয়।
ডা. শারফুদ্দিন বলেন , করোনা জীবন-যাপনের পথে বাধা তৈরি করলেও জীবন থেমে নেই। অন্যান্য জেনেটিক্স রোগগুলোর ওপর গবেষণা কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করা হবে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের নিজস্ব ডাটা তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ভাইরাসটির জিনোমের চরিত্র উন্মোচন, মিউটেশনের ধরন জানা।
এ বছরের ২৯ জুন থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত দেশব্যাপী রোগীদের ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয়।
বিএসএমএমইউয়ের গবেষণায় ৯ মাস থেকে শুরু করে ৯০ বছরের বয়স পর্যন্ত রোগী অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। এরমধ্যে ৩০ থেকে ৩৯ বছর বয়সের রোগীদের সংখ্যা বেশি।
গবেষণায় দেখা যায়, করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে যাদের কো-মরবিডিটি রয়েছে যেমন- ক্যান্সার, শ্বাসতন্ত্রের রোগ, ডায়াবেটিস তাদের মৃত্যুর সংখ্যা বেশি। পাশাপাশি ষাটোর্ধ্বরা দ্বিতীয়বার আক্রান্ত হলে সেক্ষেত্রে মৃত্যু ঝুঁকি বেশি পরিলক্ষিত হয়েছে।
গত এক মাসের ৩০০ স্যাম্পলের জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে দেখা যায়, মোট সংক্রমণের প্রায় ৯৮ শতাংশ হচ্ছে ইন্ডিয়ান বা ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট। ১ শতাংশ আফ্রিকান বা বেটা ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা।