হেফাজতে ইসলাম এর কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর এর সহ সভাপতি এবং খেলাফত আন্দোলন এর নেতা খুরশীদ আলম কাশেমীকে আজ বুধবারের তার মোহাম্মদপুর এর বাসা থেকে আটক করা হয়েছে। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল দুপুরে তাকে আটক করে।
এদিকে শিশু বক্তা নামে পরিচিত রফিকিল ইসলাম মাদানীকে আরো দুদিনের রিমান্ডে নিয়েছে গাজীপুর পুলিশ। ডিজিটাল সিকিউরিটির এ্যাক্ট এর এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেয়া হয়৷
জানা গেছে সরকার স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীতে হেফাজতের তান্ডব ভালোভাবে নেয়নি এবং একে দেশের বিরুদ্ধে পরিকল্পিত আঘাত মনে করছে৷ সরকার আর এই নাশকতা ছাড় দিতে প্রস্তত নয়। গত পরশু রাতে গ্রেফতারে বিপর্যস্ত হেফাজতের কিছু নেতা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় গিয়ে কিছুটা অনুনয় এর সুরে এই গ্রেফতার বন্ধ করার আর্জি জানায়, তবে মন্ত্রী বলেন, কোন নিরপরাধী ব্যক্তি আটক হচ্ছে না, হেফাজত নেতারা তার আগে একটি গোয়েন্দা সংস্থার কয়েকজন কর্মকর্তার সাথে দেখা করে গ্রেফতার অভিযান বন্ধ করার অনুরোধ করেন।
সরকারের একটি সুত্র জানায়, দেশের আলেম সমাজের সাথে দুরত্ব ঘুচানো, তাদের দীর্ঘ দিনের কিন্তু সমস্যার ইতিবাচক সমাধান করে মাদ্রাসা ভিত্তিক জনগোষ্ঠীকে সন্মানের সাথে জাতীয় অগ্রগতির সাথে যুক্ত করতে সরকারের ইতিবাচক উদ্যোগ আছে, সরকার তাদের রাজনৈতিক মিত্রদের কাছে সমালোচিত হলেও সরকার চাইছিলো, হেফাজত কে ধর্ম ভিত্তিক নিরপেক্ষ একটা প্লাটফর্মে থাকুক। কিন্তু দিন দিন এদের কেউ কেউ রাজনৈতিক শক্তির মদদে রাজনৈতিক ক্ষমতার বলয়ে ঢুকতে এবং রাস্ট্র বিরোধী ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
সরকারের সৌহার্দপূর্ণ সহযোগিতা কে এরা দুর্বলতা মনে করে শক্তি দেখাচ্ছে। তারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অসন্মান করছে, জাতীয় পতাকা পোড়াচ্ছে, সরকারি অফিসে আগুন দিচ্ছে- যা রাস্ট্রকে চ্যালেঞ্জ করা।
- এই অবস্থায় সরকার আইনের পথে হেফাজত কে মোকাবিলা করবে তবে মাদ্রাসা শিক্ষা নিয়ে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ চালু থাকবে।