
যেভাবে আদায় হবে ঢাকা-মাওয়া সড়কের টোল
গাড়ির সামনের যে উইন্ড স্ক্রিন, সেখানে একটা স্টিকার থাকবে। গাড়িটি যখন ওই সড়ক দিয়ে যাবে তখন মহাসড়কের নির্দিষ্ট স্থানে বসানো স্ক্যানিং মেশিনে স্বয়ংক্রিয়ভাবে গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে টোল আদায় হয়ে যাবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ভাঙা পর্যন্ত তিনটি ব্রিজ রয়েছে। এসব ব্রিজে সব টোল সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে এভাবেই আদায় করা হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ তথ্য জানয়েছেন।
কোরিয়ান ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সির অর্থায়নে ঢাকা-মাওয়া-ভাঙা এক্সপ্রেসওয়ের টোল আদায় কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে বলে জানান অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘এই মহাসড়কে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে টোল আদায় করা হবে। এর জন্য কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনকে নির্বাচিত করেছে সরকার। প্রথমে পাঁচ বছরের জন্য তাদের নিয়োগ দেওয়া হবে। পরে চুক্তির মেয়াদ আরও বাড়ানো হতে পারে।’
বৃহস্পতিবার অর্থনীতি বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ সংক্রান্ত প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান অর্থমন্ত্রী আহম মুস্তফা কামাল।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে এই টোল আদায় করা হবে। গাড়ির সামনের যে উইন্ড স্ক্রিন, সেখানে একটা স্টিকার থাকবে। গাড়িটি যখন ওিই পথে যাবে, তখন স্ক্যান করে অটোমেটিক গাড়ির অ্যাকাউন্ট থেকে টোল আদায় হয়ে যাবে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কের ভাঙা পর্যন্ত তিনটি ব্রিজ রয়েছে।’ সব টোল সমন্বিত পদ্ধতির মাধ্যমে আদায় হবে বলেও জানান তিনি।
সামসুল আরেফিন জানান, কোরিয়া এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশনের দক্ষিণ কোরিয়ায় চার হাজার ১১২ কিলোমিটার এক্সপ্রেসওয়ে ও ৩৩২ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু ব্যবস্থাপনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। রাস্তায় কী পরিমাণ যানবাহন রয়েছে, কোন পথ দিয়ে গেলে সুবিধা হবে, এসব তথ্যও তারা দেখাতে পারে।
বাংলা ট্রিবিউনের সৌজন্যে