রোববার (১১ জুলাই) রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান জুস কারখানার অগ্নিকাণ্ডের প্রত্যক্ষদর্শীরা এ তথ্য জানান।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গের সামনে স্থাপিত বুথের সামনে কথা হয় তার সঙ্গে। এ দুর্ঘটনায় স্ত্রী আমেনা বেগমকে হারিয়েছেন তিনি।
রাজীব হাসান বলেন, যে ফ্লোরে আগুন লেগেছে, সেই ফ্লোরে আমার বউ কাজ করতো। আর আমি নিচের ফ্লোরে কাজ করতাম। ঘটনার কিছুক্ষণ আগে আমার ছুটি হয়ে যাওয়ায় আমি বাইরে চা খাচ্ছিলাম। এমন সময় আগুন লাগে। পেছনের দরজা দিয়েও আমি ভেতরে ঢুকতে পারিনি। কারণ, দরজা বন্ধ ছিল। আমি আমার বউরে বাঁচাতে পারিনি।
দরজা কেন বন্ধ ছিল- জানতে চাইলে তিনি বলেন, যে ফ্লোরে আমেনা কাজ করতো সে ফ্লোরে জুস বানানো হতো। যা বাচ্চাদের পছন্দের খাবার। সেখানকার স্টাফরা যাতে সেই জুস চুরি করতে না পারে, সেজন্য দরজায় তালা বন্ধ করে কাজ করানো হতো।
বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় রূপগঞ্জ উপজেলার কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ২৯ ঘণ্টা পর ডেমরা, কাঞ্চনসহ ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন করে৷ কারখানা থেকে উদ্ধার করা হয় ৫২ জনের মরদেহ। আহত হয়েছেন অন্তত ৫০ জন।