spot_img
Home বাণিজ্য অর্থনীতি সংকটে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া

সংকটে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া

সংকটে বাড়ির মালিক ও ভাড়াটিয়া

রাজধানীর বাড়ি-ফ্ল্যাট মালিক ও ভাড়াটিয়ারা সংকটে । গ্রামে চলে গেছেন ৪০ ভাগ ভাড়াটিয়া। ফাঁকা পড়ে আছে বাড়ি। রাজধানীর বাড়ির গেটে গেটে ঝুলছে ‘বাড়ি ভাড়া’ বিজ্ঞাপন।

বড় বাসা ছেড়ে দিয়ে কম ভাড়ার বাড়িতে উঠতে বাধ্য হয়েছেন অনেকে । করোনায় আয় কমে গেছে অগণিত মানুষের, বেকার হয়েছেন বহু পরিবার।

রাজধানীতে যারা বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন, তারা এ পরিস্থিতিতে চলে গেছেন গ্রামের বাড়িতে।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ, পরিবারকে পাঠিয়েছে গ্রামে, নিজে একা কোথাও কস্ট করে থাকছেন।
একই সংকটে পড়েছেন বাড়ির মালিকরাও। বাড়িভাড়ার টাকায় সংসার চালানো বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়া না পেয়ে মাসের পর মাস অর্থকষ্টে ভুগছেন বলে জানা গেছে ।
যাদের ভাড়ার টাকায় লোনের কিস্তি দিতে হয় – সংকটে তারাও।

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় হোস্টেলের প্রতিটি সিট ফাঁকা পড়ে আছে। যারা আমার কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে হোস্টেলটি চালাতেন, তারাও ভালো নেই। কয়েক মাস তাদের জমানো টাকা থেকে আমাকে ভাড়া দিয়েছে কিন্তু এখন আর দিতে পারছে না। এই ফ্ল্যাটগুলো যে অন্য কারো কাছে ভাড়া দিব, তাও কেউ নিচ্ছে না। মাসের পর মাস টুলেট ঝুলছে।

ঢাকার ৮০ শতাংশ বাড়িওয়ালা বাড়িভাড়া দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। বাড়িই যেহেতু তাদের ব্যবসা, তাই বিভিন্ন বিল ও করের ঊর্ধ্বগতি সাপেক্ষে তারা বছরে গড়ে ৯ শতাংশ ভাড়া বাড়ান। ৭৫ শতাংশ বাড়িওয়ালা ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কিংবা সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে বাড়ি বানিয়ে থাকেন। বাড়িভাড়া ছাড়া সাধারণত তাদের অন্য কোনো আয়ের উত্স থাকে না। তাই ঋণের কিস্তি পরিশোধ কিংবা সংসার চালানোর তাগিদে ভাড়া হাতে পাওয়া তার জন্য জরুরী।

দাবি উঠেছে দু তিন মাসের বাড়িভাড়া মওকুফ করার জন্য।

কিন্তু সরকারের নজর নেই এদিকে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here