জাতীয় মিনারে বরেণ্য কোনো ব্যক্তির মরদেহ আনা হলে, অগ্রগামী ভূমিকায় থাকতেন ফকির আলমগীর। সেই ফকির আলমগীর শেষবারের মতো এলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। নিথর দেহে, নিশ্চল চোখে। সর্বস্তরের মানুষের করোনার ঝুঁকি এড়িয়ে উপস্থিত হয়ে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন দেশের সাংস্কৃতিক আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিকে।
শনিবার (২৪ জুলাই) দুপুর পৌনে ১২টায় ফকির আলমগীরের মরদেহ নিয়ে আসা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে। বৃষ্টির কারণে আধা ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয় নাগরিক শ্রদ্ধাঞ্জলি পর্ব। এর ব্যবস্থাপনায় ছিলো সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। প্রথমেই আওয়ামী লীগের পক্ষে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন দলটির সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ৷
শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, গণস্বাস্থ্যকেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। শ্রদ্ধা নিবেদন করে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, গণসঙ্গীত সমন্বয় পরিষদ, পথনাটক পরিষদ, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, কৃষক লীগ, দনিয়া সাংস্কৃতিক জোট, মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়, স্পন্দন, আদিঢাকা সাংস্কৃতিক জোট, যুব ইউনিয়ন, কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসর, জাসদ, ছাত্রমৈত্রী, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন
। শুক্রবার (২৩ জুলাই) করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ফকির আলমগীর৷ এরপর তার মরদেহ হাসপাতালের হিমাঘরে ছিলো৷ সেখান থেকে শনিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর খিলগাঁওয়ের পল্লীমা সংসদে তার মরদেহ নিয়ে আসা হয়৷ সেখানে প্রথম নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়৷ সেখানে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তাকে রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়৷
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বাদ যোহর খিলগাঁওয়ের মাটির মসজিদে দ্বিতীয় নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। পরে খিলগাঁওয়ের তালতলা কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।