
ইউরোপের দেশ লাটভিয়ায় গ্যাস সরবরাহ স্থগিতের ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় জ্বালানি কোম্পানি গ্যাজপ্রমের তরফে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্স।
গ্যাজপ্রম বলছে, গ্যাস উত্তোলনের শর্ত লঙ্ঘনের কারণে প্রতিবেশী দেশটিকে গ্যাস সরবরাহ স্থগিত করে দিয়েছে তারা।
একদিন আগেই লাটভিয়ার জ্বালানি প্রতিষ্ঠান লাটভিজাস গেজ জানায়, রাশিয়া থেকে তারা গ্যাস কিনছে। তবে গ্যাজপ্রমের সঙ্গে বাণিজ্যের ক্ষেত্রে রুশ মুদ্রা রুবলের বদলে ইউরোতে অর্থ পরিশোধ করা হবে।
লাটভিজাস গেজের ওই ঘোষণার একদিনের মাথায় দেশটিতে সরবরাহ বন্ধের কথা জানায় গ্যাজপ্রম।
এর আগে গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রধান পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ আরও কমিয়ে দেওয়ার ঘোষণঅ দেয় গ্যাজপ্রম। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, নর্ড স্ট্রিম ওয়ান নামে পরিচিত রাশিয়া থেকে জার্মানিতে গ্যাস সরবরাহের প্রধান পাইপলাইনে রক্ষণাবেক্ষণ কাজের কারণে উৎপাদন ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে। যার ফলে বর্তমানের চেয়ে গ্যাস সরবরাহ অর্ধেক কমে যাবে। তবে জার্মানি বলছে, প্রযুক্তিগত এমন কিছু আসলে নেই।
নর্ড স্ট্রিম ওয়ান গত বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরেই ক্ষমতার চেয়ে অনেক কম গ্যাস উৎপাদন করছে। এ মাসেই রক্ষণাবেক্ষণ বিরতির কারণে দশদিনের জন্য পুরোপুরি বন্ধ রাখা হয়েছিল উৎপাদন।
জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের অভিযোগ
ইউরোপের দেশগুলোর ৪০ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ হয় রাশিয়া থেকে। তবে মস্কোর বিরুদ্ধে জ্বালানিকে অস্ত্র হিসেবে ব্যাবহার করছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলো। রাশিয়ার তরফে সরবরাহ কমিয়ে দেওয়া অথবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি আসার পর ইউরোপিয়ান কমিশন ইতোমধ্যেই তার সদস্য দেশগুলোকে গ্যাসের ব্যাবহার ১৫ শতাংশ কমিয়ে আনার আহ্বান জানিয়েছে। তবে জরুরি অবস্থা তৈরি হলে গ্যাস ব্যাবহারের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছায় কৃচ্ছ্রতা সাধনের বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লিয়েন বলেছেন, রাশিয়া ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলোতে গ্যাস সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ করে দেবে; এমন সমূহ আশঙ্কা রয়েছে।