রোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সরকার ঘোষিত চলমান কঠোর লকডাউনের গত পাঁচদিনের তুলনায় ষষ্ঠ দিনে সড়কে জনমানুষের চলাচল অনেকটাই বেড়েছে। আগের দিনগুলোর তুলনায় সড়কে বেড়েছে ব্যক্তিগত যানবাহনের চলাচল।
সরকারের দেওয়া বিধি-নিষেধে সড়কে ব্যক্তিগত যান ও মোটরসাইকেলের চলাচল বেশি দেখা গেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট দেখে লুকোচুরি করে রাজধানীতে বেশকিছু অটোরিকশা চরাচল করতে দেখা যায়। পাড়া-মহল্লার ওলিগলিতে চলাচল ব্যাপকহারে চলাচল করেছে রিকশা ও অটোরিকশা।
নানা কারণে মানুষজন এক স্থান থেকে অন্য স্থানে চলাচল করেছেন। পাড়া-মহল্লায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে লুকোচুরি করেই দোকানপাট খুলেছেন অনেকে।
পুলিশ, র্যাবসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কারও গাড়ি দেখলেই দোকানের শাটার ফেলে দিচ্ছেন দোকানিরা। চলে যাওয়ার পর কঠোর লকডাউনের ষষ্ঠ দিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকার চিত্র এটা।
রাজধানীর বিভিন্ন চেকপোস্টগুলো ঘুরে দেখা গেছে, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সড়কে চলাচলকারী সবাইকে তল্লাশি ও জবাবদিহি করছেন। তাই অনেকে পাড়া-মহল্লার ভেতরের পথ দিয়ে এক স্থান থকে অন্য স্থানেমতিঝিল ও তার আশপাশে বাইরে বের হওয়া ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার কারণে মোট ১৮ জনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত। বুধবার বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে র্যাব।
লকডাউনের পরেও যেসব কাজ করলে চলবে এমন অনেক কাজ ও কারণ দেখিয়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে উপস্থাপন করছে মানুষজন। অনেকে টেলিভিশন মেরামত করতে যাচ্ছেন, কেউ আবার একাধিক জন নিয়ে ব্যাংকে যাচ্ছেন। স্বাস্থবিধি উপেক্ষা করেই বাইরে বের হচ্ছেন অনেকে।
তবে সড়কে দায়িত্ব পালন করা প্রশাসনের কর্মকর্তারা বলছেন, ঘর থেকে বের হওয়া মানুষদের কাছে সন্তোষজনক জবাব না পেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।