
গত এক সপ্তাহের পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৫ টাকা ও হলুদের কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা পর্যন্ত।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত সপ্তাহে যে হলুদের কেজি ১৮০ টাকা ছিল, সেই একই হলুদ শুক্রবার উঠলো ২১০ টাকা ।
টিসিবির বলছে, গত এক সপ্তাহে হলুদের দাম কেজিতে বেড়েছে ১৪ শতাংশ।
আগের সপ্তাহেও হলুদের দাম বেড়েছিল কেজিতে ৪০ টাকার মতো। গত দুই সপ্তাহের তুলনায় দেশি হলুদের দাম বেড়েছে কেজিতে ৭০ টাকা।
অর্থাৎ গত দুই সপ্তাহ আগে যে হলুদের দাম ছিল ১৪০ টাকা কেজি। এখন সেই হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি।
গত সপ্তাহে দেশি পেঁয়াজের কেজি বিক্রি করছেন ৫০ টাকা থেকে ৫৫ টাকা। গত সপ্তাহে ওই একই পরিমাণ পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা।
গত সপ্তাহে যে আদার দাম ছিল ১৮০ টাকা কেজি, এই সপ্তাহে সেই আদা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৯০ টাকা।
দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, খোলা সয়াবিন তেল ও চিনি। বাজারে চিনির কেজি এখন ৮০ টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহের ব্যবধানে চিনির দাম কেজিতে বেড়েছে তিন থেকে চার টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৫ টাকা। অর্থাৎ এক কেজি ব্রয়লার মুরগি কিনতে এখন ১৪০ টাকা লাগছে। গত সপ্তাহে এই ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২৫ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি পর্যন্ত।
পণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সীমিত আয়ের মানুষদের কষ্ট হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজার এখন সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রণে।
রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে কেজিপ্রতি ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা। মসুর ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে চালের খুচরা বাজারে মিনিকেট ৬২ থেকে ৬৫, আটাশ ৫০ থেকে ৫৫, স্বর্ণা ৪৭ থেকে ৫০ ও নাজিরশাইল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
টিসিবির বলছে , গত এক বছরে আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ।
একইভাবে গতবছরের এই সময়ে দেশি হলুদের দাম ছিল ১৪০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এখন সেই হলুদ বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি দরে। এছাড়া ২০২০ সালের এই সময়ে ৬৫ থেকে ৭০ টাকায় এক লিটার খোলা পামওয়েল পাওয়া যেত। এখন সেই পামওয়েল বিক্রি হচ্ছে ১১৪ থেকে ১১৬ টাকা দরে।
গত বছরে যে পাম অয়েলের (সুপার) দাম ছিল ৭১ থেকে ৭৫ টাকা। সেই পামওয়েল এখন বিক্রি হচ্ছে ১১৬ টাকা থেকে ১২০ টাকা লিটার।।
মানুষের আয় বাড়েনি, বাড়েনি তদারকি ও