‘বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে’—সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের বিখ্যাত ভ্রমণকাহিনি পালামৌ থেকে নেওয়া সর্বজনে জানা উদ্ধৃতি। এবারের বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য যেন পালামৌর এই উদ্ধৃতিটি মনে করিয়ে দেয়। প্রতিপাদ্যটি হলো ‘বন ও জীবিকা: মানুষ ও গ্রহকে বাঁচাই’।
২০১৩ সালের ২০ ডিসেম্বর জাতিসংঘের ৬৮তম সাধারণ অধিবেশনে ৩ মার্চকে বিশ্ব বন্য প্রাণী দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। আজ বুধবার বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। তবে মূল কথা হলো, মানুষকে নিজেদের অস্তিত্বের জন্যই পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে জানা দরকার, বাংলাদেশের বন ও বন্য প্রাণীদের অবস্থা কী?
বাংলাদেশে বৈশ্বিক পরিস্থিতির তুলনায় জীববৈচিত্র্য হ্রাসের হার বেশি। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) হিসাবে ২০০০ থেকে ২০১৫ পর্যন্ত সময়কালে বিশ্বব্যাপী প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ বন উজাড় হয়েছে। বিপরীতে বাংলাদেশে উজাড় হয়েছে ২ দশমিক ৬ শতাংশ। ওয়ার্ল্ড ওয়াইল্ডলাইফ ফান্ড এক প্রতিবেদনে জানাচ্ছে, বিশ্বে ১৯৭০ সাল থেকে এ পর্যন্ত বন্যপ্রাণীর সংখ্যা কমেছে দুই তৃতীয়াংশ। ৫০ বছরে স্থলভূমির তিন-চতুর্থাংশ এবং সমুদ্রের ৪০ শতাংশ প্রাণ-বৈচিত্র্য মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ১০০ বছরে বাংলাদেশের ভূখণ্ড থেকে চিরতরে হারিয়ে গেছে ৩১ প্রজাতির প্রাণী।