
আগামী ২০২২ সালের জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়। একই দিনে সেতুতে রেল পথেরও উদ্বোধনের আগ্রহ থাকলেও সংকটে পড়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। সেতুতে সড়ক ছাড়াও গ্যাস লাইন, বিদ্যুৎ প্রভৃতি অন্যবিভাগের কাজ চলায় এখনই কাজের অনুমতি পাচ্ছে না রেলওয়ে। আর এ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে অনুমতি না পেলে আগামী বছর জুন রেলপথ চালু সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন।
আজ মঙ্গলবার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
রেলপথ মন্ত্রী বলেন, সেতুর উপরে আমাদের কাজ শেষ করতে ৬ মাস সময় লাগবে। সেতু কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ করার অনুমতি দেয়, তাহলে একই দিনে সেতুটি দিয়ে সড়ক ও রেল পরিবহনের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব হবে।
রেলমন্ত্রী বলেন, মূল পদ্মা সেতুর ওপর রেলপথ বসানোর অংশটি আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কাছে হস্তান্তর করতে হবে। তবে সেতু বিভাগ এখন গ্যাস, বিদ্যুৎ লাইনসহ অন্যান্য ইউটিলিটির কাজের জন্য অনুমতি দিয়েছে। তাদের কাজ শেষ হলে সবশেষ রেলের কাজের অনুমতি দেবে।
তবে কোনও কারণে সম্ভব না হলে অন্তত আগামী বছরের মার্চের মধ্যে অনুমতি চায় রেলপথ মন্ত্রণালয়। মন্ত্রী বলেন, কোনও কারণে সেতু কর্তৃপক্ষ কাজের অনুমতি দিতে না পারলে, আগামী মার্চেও যদি অনুমতি দেওয়া হয়- তাহলে আমরা আগামী বছর ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে রেলপথ উদ্বোধন করতে পারবো।
কিন্তু তাও সম্ভব না হলে জুনে সেতু চালু করার পর রেলের কাজ করলে কারিগরি জটিলতা হতে পারে বলেও জানান সংশ্লিষ্টরা।