পদ্মার পিলারে বার বার ফেরীর ধাক্কা চালকের অদক্ষতা, না কি অন্তর্ঘাত তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এক মাসে চার বার ফেরীর ধাক্কার বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার বলেও তিনি জানান।
বুধবার (১১ আগস্ট) দুপুরে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব ব্যাংক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন থেকে সরে গেলে এই সেতু নির্মাণ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। আজ পদ্মা সেতু দৃশ্যমান বাস্তবতা। আগামী জুনের মধ্যে পদ্মা সেতুতে যানবাহন চলাচলা করবে বলে আশা করছি। সব পিলার নির্মাণ শেষ হয়েছে। এ কথা বলছি এ কারণে যে গত এক মাসে চার বার সেতুর পিলারে ফেরির ধাক্কা লেগেছে। ফেরির ধাক্কা বার বার কেন। এক বার নয় দুই বার নয় চার চার বার। এটা চালকের অদক্ষতা নাকি অন্তর্ঘাত তা খতিয়ে দেখতে হবে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার আগেই বার বার এ ঘটনা কেন ঘটবে। আমাদেও বিষয়টি খতিয়ে দেখা দরকার। এই প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র ছিল, তা এখনও শেষ হয়নি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সরকার রাজনৈতিক সরকার। রাজনীতিবিদরা সিদ্ধান্ত নেন, আমলারা তা বাস্তবায়ন করেন। সরকার সঠিক পথেই আছে। সব পলিসি নির্ধারণ করেন আমাদের নেত্রী। সরকার আমলা নির্ভর নয়।
এ সময় করোনা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, মনে রাখতে হবে স্থায়ী লকডাউন কোনো সমাধান নয়, যদি আমরা সচেতন না হই। সচেতন হয়ে অদৃশ্য করোনা ভাইরাসকে মোকাবিলা করতে হবে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ক্রমান্বয়ে খুলে দেওয়ার চিন্তা-ভাবনা করছে সরকার। এর জন্য গণটিকা সফল করা প্রয়োজন।