
তেজপাতা- পোড়ানোর পরেই দেখায় আসল তেজ…
তেজপাতা রান্নায় ব্যবহৃত একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। সেটা নিরামিষ রান্না হোক বা আমিষ, সব রান্নাতেই এটি আনে অসাধারণ স্বাদ এবং গন্ধ।
পায়েস রান্নাতেও তেজপাতা ব্যবহার করা হয়। আবার মাংস রান্নাতেও তেজপাতার ব্যবহার হয়। তেজপাতার নিজস্ব এক গন্ধ আছে, যা রান্নায় মিশে এক আলাদা স্বাদ এনে দেয়। তেজপাতার গুণের জন্য বিদেশেও এর খ্যাতি রয়েছে।
তেজপাতা গাছ মূলত ইনডিয়া, চায়না, নেপাল ও ভুটানে পাওয়া যায়। কিন্তু আপনারা হয়তো জানেন না যে, রান্নায় ব্যবহার ছাড়াও এর আরও অনেক গুণ আছে। সেটা হলো তেজপাতা পোড়ানো। তেজপাতা পুড়িয়ে তার গন্ধ নাকে নিলে তা শরীরের জন্য খুব উপকারী। ফলে শরীরে কোনো রোগ সহজে আক্রমণ করতে পারে না।
কীটপতঙ্গ থেকে মুক্তি
তেজপাতায় থাকা বিশেষ উপাদান আমাদের ঘর-বাড়ি থেকে কীটপতঙ্গ দূর করতে সাহায্য করে। তেজপাতা পোড়ালে যে গন্ধ ও ধোঁয়া বের হয় তাতে কোনো পোকামাকড় থাকে না। বাড়িতে যদি মশা-মাছির প্রবেশ ঘটে, তাহলে খুব সহজেই এই প্রাকৃতিক বস্তু ব্যবহার করে তাদের উপদ্রব থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে
আমরা স্বাভাবিক ভাবে জীবনযাপন করলেও আমরা একদম সুস্থ নই। শরীরের ভেতরে কোনো না কোনো রোগ বাসা বাঁধে। কিন্তু যদি প্রতিদিন একটি করে তেজপাতা পুড়িয়ে তার গন্ধ শুঁকি, তাহলে আমরা অনেকটাই সুস্থ থাকতে পারবো। আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ায়
তেজপাতা পোড়ার কিছু গন্ধ নাকে গেলে সারাদিনের ক্লান্তি তো দূর হয়ই, তাছাড়াও স্নায়ুর কার্যক্ষমতা বাড়ে, পাশাপাশি স্মৃতিশক্তি বাড়াতেও সাহায্য করে।
ক্লান্তি দূর করে
সারাদিন কর্মব্যস্ত থাকার পর ক্লান্ত হয়ে ফিরে যদি রিফ্রেশমেন্ট চান, তাহলে একটি তেজপাতা পুড়িয়ে তার গন্ধ নিতে পারেন। আপনি বাড়ি ফিরে ঘরে একটি তেজপাতা জ্বালালে তার যে গন্ধ আপনার নাকে আসবে, তাতে আপনি বেশ তরতাজা অনুভব করবেন।
ডায়াবেটিস দূর করে
শুনে হয়তো অবাক লাগছে, কিন্তু এটাই সত্যি যে তেজপাতার ধোঁয়া আপনার নাকে গেলে শরীরে ইনসুলিনের মাত্রা বাড়ে। ফলে ডায়বেটিসের মাত্রা কমে।
রেসপিরেটরি ও কার্ডিওভ্যাস্কুলার সিস্টেম
তেজপাতা পোড়ানো গন্ধ শ্বাসনালী পরিষ্কার করে এবং কার্ডিওভ্যাস্কুলার প্রক্রিয়াকে ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
সংবাদসূত্র : ইনডিয়া টাইমস