
নির্ধারিত সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও তাইওয়ানে সামরিক মহড়া চালিয়ে যাচ্ছে চীন।
এনডিটিভির প্রতিবেদন
গত ২৪ ঘণ্টায় আটটি চীনা যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর মধ্যরেখা লঙ্ঘন করেছে। তার মধ্যে রয়েছে চারটি বোমারু বিমান জেএইচ-৭। এর মধ্যে দুটি সুখোই-৩০ এবং জে-১১ যুদ্ধবিমান তাইওয়ান প্রণালীর পূর্বনির্দিষ্ট সীমারেখা অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে তাইপেই। এছাড়া তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন ৫টি চীনা যুদ্ধজাহাজ এবং ২১টি যুদ্ধবিমানের গতিবিধির ওপরও নজর রাখছে তাইওয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রতিনিয়তই আকাশসীমা লঙ্ঘন করে তাইওয়ানে প্রবেশ করছে চীনা যুদ্ধবিমান ও জাহাজ। ফলে তাইওয়ান প্রণালীতে বাণিজ্যিক বিমান ও জাহাজ চলাচল কার্যত স্থগিত আছে। চীনা বিমানবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী ‘স্টেলথ এয়ার সুপিরিওরিটি ফাইটার’ জে-২০ যুদ্ধবিমানও তাইওয়ান প্রণালীতে মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। অপ্রত্যাশিত হামলার মোকাবিলা করতে যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান এফ-১৬ভি মোতায়েন করেছে তাইওয়ানও। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তাইওয়ানে দ্রুত সেনা অবতরণের উদ্দেশ্যেই চীন এই পরিকল্পনা করেছে বলে মনে করছেন সামরিক পর্যবেক্ষকরা।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুর দিকে মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা শুরু হয়। চীনের আপত্তি স্বত্ত্বেও ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করায় এর তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় চীন। এরই জবাব হিসেবে তাইওয়ান প্রণালীসহ দক্ষিণ চিন সাগরের বিভিন্ন অংশে চীনা রণতরীর পাশাপাশি পরমাণু অস্ত্র বহনে সক্ষম সাবমেরিনের তৎপরতার অভিযোগ উঠেছে এরই মধ্যে। তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীন।