সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন রাষ্ট্রের অসুস্থতার প্রমাণ’
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী সারাদেশে কর্মসূচির মাধ্যমে
অবিলম্বে ঝুমন দাসের মুক্তি দাবি করেছে।
সুনামগঞ্জের শাল্লায় সাম্প্রদায়িক নিপীড়নের শিকার, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার ঝুমন দাসকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানানো হয়েছে
বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ঢাকার জাতীয় যাদুঘরের সামনে আজ বুধবার এক সমাবেশের আয়োজন করে।
এই কর্মসূচীতে ঝুমন দাসের স্ত্রী ও শিশুপুত্র যোগ দেয়।
বক্তারা বলেন নিবর্তনমূলক আইনে নির্যাতনের শিকার ঝুমন দাসের অবিলম্বে মুক্তি চাই।
বক্তারা বলেন,
যখন জুলুম নির্যাতন হয়, মানুষ প্রতিকার পায় না, বিচারের বাণী নিভৃতে কাঁদে তখন সেই বিচারের দাবি প্রতিধ্বনিত করে উদীচী। এ দাবি মানুষের কাছে পৌঁছাবো। এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুধু সুনামমগঞ্জ নয় নাসিরনগর ব্রাহ্মণবাড়িয়া, রংপুরেও একই ঘটনা ঘটেছে। লুটতরাজ হয়েছে। ১৭ কোটি মানুষের নিরাপত্তাই হচ্ছে রাষ্ট্রের নিরাপত্তা। সাধারণ মানুষ জুলুম নির্যাতনের শিকার হলে তা দেশের নিরাপত্তাহীনতার প্রমাণ। গণতান্ত্রিক অধিকার খর্ব কেন হবে? এটা প্রজাতন্ত্রিক রাষ্ট্র। এ রাষ্ট্রের চুক্তি হল সংবিধান। ১৯৭২ সালের সংবিধানে চারটি স্তম্ভ ঘোষিত হয়েছিল। সেই বাংলাদেশ কী আমরা পেয়েছি? বঙ্গবন্ধুর চার মূলনীতির সেই রাষ্ট্র দর্শন আজ বিশ্ব দর্শনে পরিণত হয়েছে। রাষ্ট্র পরিচালনায় ধর্মের অপব্যবহার চলতে পারে না। সেজন্য বর্তমান পরিস্থিতি কোনো সুস্থতার পরিচয় বহন করে না। সাম্প্রদায়িক নিপীড়ন রাষ্ট্রীয় অসুস্থতার প্রমাণ। সাংবিধানিকভাবে বাংলাদেশ সম অধিকারের দেশ। সব ধর্মের মানুষের সম্প্রীতি এ দেশে দেখতে চাই। রাষ্ট্রীয় অসঙ্গতি তুলে ধরা উদীচীর দায়িত্ব। আমাদের অস্ত্র গান, আবৃত্তি ও সত্য উচ্চারণ। আমরা সুস্থ সুন্দর গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ চাই। অবিলম্বে ঝুমন দাসের মুক্তি চাই।
বক্তারা বলেন আমাদের রাজপথে দাঁড়াতে হবে, তা কষ্টদায়ক। সত্য উদঘাটন প্রয়োজন। যারা প্রকৃত অপরাধী তাদের শাস্তি দেয়া প্রয়োজন। হামলাকারীরা মুক্তি পেয়ে গেছে অথচ ঝুমন দাস জেল খাটছে। ঝুমন দাসের অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এ ধরণের ঘটনা ঘটতে পারে না।
সমাবেশে খেলাঘর উত্তর জেলার সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম বলেন, ত্রিশ লাখ শহীদের জীবনের বিনিময়ে পাওয়া সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।
ঝুমন দাসের মুক্তির দাবিতে সারাদেশে অনুরুপ কর্মসূচি পালিত হয়।