ভেঙ্গে পড়েছে প্রতিরোধের দেওয়াল। তালিবানের দখলে বিখ্যাত মুজাহিদ কমান্ডার আহমেদ শাহ মাসুদের গড় পঞ্জশির। ‘সিংহের উপত্যকা’
বিজয়ের পরই এবার সরকার গঠন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ বলে ঘোষণা করল তালিবান।
আর নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছে তালিবানের প্রধান মুখপাত্র জাবিউল্লা মুজাহিদ। এখনও পর্যন্ত তালিবানের আমন্ত্রণ তালিকায় নাম নেই ভারতের।
সোমবার কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে জাবিউল্লা মুজাহিদ বলে, “যুদ্ধ শেষ হয়েছে। আফগানিস্তানের শেষ প্রদেশ পঞ্জশির এখন আমাদের দখলে। আমরা আশা করছি এবার দেশে শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে। যারা অস্ত্র তুলে নেবে তারা জনতা ও দেশের শত্রু। মানুষের মনে রাখা উচিত যে হানাদাররা কখনও দেশ গড়ে তুলবে না। এটা আমাদের কাজ, এবং আমাদেরই করতে হবে।” বিমান পরিষেবা মিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মুজাহিদ জানায়, “কাতার, তুরস্ক ও আরব আমিরশাহী থেকে আসা বিশেষজ্ঞদের দল কাজ করছে। দ্রুত কাবুল বিমানবন্দরে পরিষেবা শুরু হবে।”
আলিবান কাশ্মিরের পক্ষে কথা বলার ঘোষণা ভারতের সাথে সম্পর্ক আরো শীতল করেছে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬-এর তালিবান সরকারকে মান্যতা দেয়নি ভারত। এবার নয়াদিল্লির কাছে সেই অবস্থান বদলের আরজিও জানিয়েছে তালিবান। তবে এখনও ‘ধীরে চলো’ নীতি নিয়ে জল মাপছে কেন্দ্র। এহেন পরিস্থিতিতে নতুন সরকার গঠনের অনুষ্ঠানে পাকিস্তান, চিন, রাশিয়া, কাতার, তুরস্ক ও ইরানকে আমন্ত্রণ জানানো হলেও বাদ পড়েছে ভারতের নাম। আর তা নিয়ে রীতিমতো সিঁদুরে মেঘ দেখছেন প্রতিরক্ষা বিশ্লেষকরা।