spot_img
Home বাণিজ্য চালের দাম কেবল বাড়ছে

চালের দাম কেবল বাড়ছে

চালের দাম কেবল বাড়ছে

চালের দাম যেন লাগাম ছাড়া। কেন বাড়ছে- কে বাড়াচ্ছে? কেউ জানেনা। গরীবের মোটা চাল এখন ধনীর পক্ষে কেনাও কস্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে।

দেশে চালের মজুদ আছে, কোন দুর্যোগ নেই তার পরও দামের এই উর্ধমুখী প্রবনতা নিয়ে কোন আলোচনা ও নেই

করোনা আসার আগে যিনি মোটা চাল খেতেন না এখন তিনি মোটা চাল কিনছেন।

কারন মানুষের আগের মতো আয় নেই। সংসারই চলে না। গত দেড় বছর ধরে মোটা চাল খাওয়ার অভ্যাস করলেও এখন এই চাল কিনতেও কষ্ট হয়।

সরকার বলছে,   চালের উৎপাদন বেশ ভালো হয়েছে। সরকারি গুদামে মজুত বেড়েছে। আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দাম কমতির দিকে। কিন্তু দেশের বাজারের চিত্র এর উল্টো।

 সরু মিনিকেট চালের কেজি এখন ৬৮ থেকে ৭০ টাকার আশপাশে। আর সাধারণ মিনিকেট চাল ৬০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৬৫ টাকা।

ভোক্তা-  চাল ব্যবসায়ীরা বলছেন, চালের দাম বেশ  নাগালের বাইরে চলে গেছে।

এদিকে বাজারে চালের দাম বাড়ায় ওএমএসের চাল কিনতে ভিড় বাড়ছে মানুষ। কারণ সেখানে ৩০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে।

ক্রেতা ও বিক্রেতা বলছেন, গত কয়েক মাস ধরেই বাজারে চালের দাম বেশি। ঢাকার খুচরা বাজারে প্রতিকেজি ৫০ টাকা বা এর আশপাশে বিক্রি হচ্ছে মোটা চাল। আর সরু চাল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকার বা এর কাছাকাছি।

 কিছু দিন আগে ইরি মৌসুম শেষ হয়েছে। সাধারণত, প্রতিবছর এ সময় চালের দাম কম থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সময় সরকারি মজুত কমে যাওয়ায় বাজার অস্থিতিশীল হয়ে উঠে। কিন্তু এবারের পরিস্থিতি একেবারেই ব্যতিক্রম। তারা বলছেন, কোনও কারণ ছাড়াই এবার চালের দাম বাড়ছে।

সরকার কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে।

বাজারে যে চালের কেজি  ৫২ টাকা। গত বছর এ সময় মোটা চালের দাম ছিল  ৪৫ টাকা। অর্থাৎ এক বছরে মোটা চাল কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা।

শুধু মোটা চাল নয়, সব ধরনের চালের দামই ব্যাপক চড়া। সরকারি হিসাবেই মিনিকেট ও নাজির শাইল চালের দাম বেড়েছে ১৫ শতাংশ।

এই মুহুর্তে  বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামের মধ্যে বাংলাদেশেই এখন চালের দাম সর্বোচ্চ।

 দেশে এখন ১৬ লাখ টন খাদ্যশস্য মজুত আছে, যা গত কয়েক বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে চালের মজুত রয়েছে ১৩ লাখ টন।

সরকার চালের আমদানি শুল্ক ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২৫ শতাংশে নামিয়ে এনেছে।  কিন্তু কোন সুবিধা পাচ্ছেন না মানুষ।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here