spot_img
Home চাকরি খবর কাল কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

কাল কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

কাল কলকাতা সিটি করপোরেশন নির্বাচন

কলকাতা সিটি করপোরেশন ভোট অনুষ্ঠিত হতে চলেছে রোববার (১৯ ডিসেম্বর)। ফলে তার আগের দিন গোটা শহর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলেছে কলকাতা পুলিশ।
এবারই প্রথম, রাজ্য পুলিশের ওপর ভরসা রেখেছে নির্বাচন কমিশন। থাকছে না কোনো কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে ভোটের আগের দিন গোটা কলকাতায় চলছে বন্দুক হাতে পুলিশের রুট মার্চ।

কড়া নিরাপত্তার চাদরে মোড়া শহর কলকাতা। কিন্তু তারই মধ্যে ভোটকে কেন্দ্র করে কলকাতায় ঘটেছে বোমাবাজির ঘটনা।

শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে দক্ষিণ কলকাতার ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে ব্যাপক বোমাবাজির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ওয়ার্ডটি কলকাতা পুলিশের সংবেদনশীল তালিকায় ছিল না। যাকে দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত্য বালিগঞ্জ প্লেস বলা হয়ে থাকে। মূলত, এ অঞ্চলে বনেদি আভিজাত্যদের বাড়ি।

পাশাপাশি এই ওয়ার্ড থেকেই রাজ্যের শাসক দলের প্রয়াত গ্রামন্নোয়ন মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বোন নির্দল প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তৃণমূলের টিকিট পায়নি তনিমা চট্টোপাধ্যায়। যদি সুব্রত বেঁচে থাকলে সমীকরণ অন্যও হতে পারত বলে, রাজনৈতিক মহলের ব্যক্তব্য।

নির্দল প্রার্থীর অভিযোগ, তৃণমূলের আশ্রিত সন্ত্রাসবাদীরা ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতেই বোমা ছুড়েছে। যাতে আমাদের সমর্থকরা ভোটের দিন না বের হন।

তবে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী সুদর্শনা মুখোপাধ্যায়। তার পাল্টা দাবি, যাদের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটেছে তারাই এই বোমা কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। আসলে কিছুই না, আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বদনাম করতে চাইছে ওরা।

নির্দল প্রার্থী তনিমার অভিযোগ, বাইকে চড়ে ৩ জন সন্ত্রাসবাদী এসেছিল। তারা এলাকায় তৃণমূল প্রার্থীর অনুগামী বলে পরিচিত। আমাদের নামে নিয়ে হুমকির সুরে গালমন্দ করেন। এরপর পর পর বোমা মেরে চলে যায়। তবে শুধু নির্দল প্রার্থী নন, অভিযোগ স্থানীয়দের যে, সন্ত্রাসবাদীরা শাসক দলের আশ্রিত। একজন স্থানীয়র অভিযোগ, গত ৬০ বছর আমরা এখানে থাকি। এরকম বোমার ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি।
স্বভাবতই এ অঞ্চলে এরকমটা ঘটার কথাও না। আর সে কারণে পুলিশের স্পর্শকাতরের তালিকাতেও বালিগঞ্জের নাম নেই।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, একুশের করপোরেশন ভোটে গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ, ওয়াটগঞ্জ এবং কলকাতা বন্দর এলাকার একাধিক বুথকে অতি স্পর্শকাতরের তালিকায় রাখা হয়েছে। এরপরেই রয়েছে বেহালা এলাকার একাধিক বুথ। পাশাপাশি তিলজলা, তপসিয়া, কসবা এবং যাদবপুরে ভোটের দিন বিক্ষিপ্ত অশান্তি হতে পারে বলে পুলিশের অনুমান।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here