
করোনার টিকা নিয়ে শুরুর দিকে জনমনে কিছুটা সংশয় থাকলেও তা এখন অনেকটাই কেটে গেছে। বলা যায়, উৎসাহ নিয়ে মানুষ টিকা গ্রহণ করছেন। যেকোনো সংক্রামক ব্যাধি নির্মূলের জন্য টিকা হচ্ছে সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকরী ব্যবস্থা। তবে সব টিকার মতোই করোনার এই টিকা নেওয়ার পরও কিছু মৃদু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে। আর অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার তীব্র পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার রেকর্ড নেই বললেই চলে।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ধরন
যেকোনো টিকা প্রয়োগের পর সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতেই পারে। শৈশবে নেওয়া যক্ষ্মা প্রতিরোধক বিসিজি টিকার দাগ তো এখনো অনেকের বাহুতে লেগে আছে। এটাও একধরনের প্রতিক্রিয়া। কোভিড-১৯ টিকা দেওয়ার পর কারও কারও স্বল্প সময়ের জন্য সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এর মধ্যে বাহুতে ইনজেকশনের স্থানে ব্যথা, কাঁপুনি-জ্বর, মাথাব্যথা, গায়ে ব্যথা, ক্লান্তি ভাব, বমি ইত্যাদি আছে। সাধারণত ১২ থেকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দেয়। এগুলো সাময়িক। দু-এক দিনের মধ্যেই এসব উপসর্গ চলে যায়।
কারও কারও অবশ্য হালকা অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়াও হচ্ছে। চুলকানির পাশাপাশি চামড়ায় হালকা সাময়িক ফুসকুড়ির মতো দেখা দিচ্ছে। এগুলোও মামুলি ব্যাপার। কোনো রকম ওষুধ সেবন না করলেও এগুলো অনেক সময় চলে যায়। ক্ষেত্রবিশেষে সপ্তাহখানেক পরে কোনো কোনো ক্ষেত্রে বাহুতে টিকা দেওয়ার জায়গা ফুলে যেতে পারে। বগলের নিচে লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়ার নজিরও রয়েছে বিশ্বের কোথাও কোথাও।