প্রতিবেশী হলেও মানুষের ভেতর ক্ষোভ বাড়ছে।
পাকিস্তানবিরোধী তুমুল বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠছে আফগানিস্তান। উত্তরাঞ্চলীয় পাঞ্জশির অঞ্চল তালেবানের নিয়ন্ত্রণে যাওয়ার পর বিক্ষোভের তেজ বাড়ছে।।
বিক্ষোভকারীরা বলছেন, তালেবান পাকিস্তানের সহায়তা নিয়ে একের পর এক অন্যায় করছে।
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের কেন্দ্রস্থলে বিক্ষোভ মিছিল ছত্রভঙ্গ করতে আকাশে গুলি ছুড়েন তালেবান।
আফগানিস্তানে বাড়ছে পাকিস্তানের প্রভাব। কাবুলের সবক্ষেত্রে ইসলামাবাদের নাক গলানো বন্ধ করার দাবিতে রাস্তায় নামেন শত শত মানুষ। যাদের উল্লেখযোগ্য অংশ ছিলেন নারী।
বিক্ষোভকারীরা বলেন, পাকিস্তানের মদদেই পাঞ্জশিরে আক্রমণ চালিয়েছে তালেবান। সেখানে করুণ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। মানুষজন ক্ষুধার্ত, নেই ওষুধ, পথঘাট সব বন্ধ। এ সব কিছুই ইসলামাবাদের মদদে হয়েছে। পাকিস্তান তার গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইএর মাধ্যমে আফগানিস্তানে সরকার গঠনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আফগানরা স্বাধীন থাকবেন, আমরা সেটাই চাই।
পাকিস্তানবিরোধী বিক্ষোভের ঘটনায় কেউ হতাহত হয়েছেন বলে তাৎক্ষণিকভাবে খবর পাওয়া যায়নি।
সোমবার নারীদের ছোট একটি দল উত্তরাঞ্চলীয় শহর মাজার-ই-শরিফে তাদের অধিকার রক্ষার দাবি জানিয়ে মিছিল করেন। এর আগে শুক্র ও শনিবার কাবুলের পথে নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন একদল নারী সাংবাদিক ও অধিকারকর্মী।
এরই মধ্যে আফগানিস্তানে খাদ্য সংকট চরমে পৌঁছানোর আশঙ্কা আরও জোরালো হচ্ছে। দাতা সংস্থাগুলো এ নিয়ে সতর্ক করেছে।
এমন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সদস্যদের নাম ঘোষণা করেছে তালেবান। তুলনামূলক অপরিচিত নেতা মোল্লা হাসান আকুন্দকে করা হয়েছে ভারপ্রান্ত প্রধানমন্ত্রী তার সহকারী হিসেবে আছেন জ্যেষ্ঠ নেতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার। আর হাক্কানি নেটওয়ার্কের নেতা সিরাজউদ্দিন হাক্কানি পেতে পেয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদ। সরকারের অনেক সদস্যের নামে সন্ত্রাসী তকমা রয়েছে।
তবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে রাশিয়াসহ কয়েকটি দেশ।
দিন দিন ক্ষোভের পারদ উর্ধমুখী।
গুলি- ভয় মানছে না আফগানিস্তানের অনেক মানুষ।