
আইনসভার সদস্য সংখ্যা থেকে শুরু করে সর্বভারতীয় রাজনীতিতে ভূমিকা, সব ক্ষেত্রে মমতার থেকে অনেক পিছিয়ে গিয়েছেন বিমান-ইয়েচুরি-বিজয়ন-কারাটরা। কিন্তু দলীয় আয়ের নিরিখে এখনও মমতা ব্যানার্জি থেকে খানিকটা এগিয়ে সিপিএম। এ বছর জানুয়ারিতে ভারতের নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে তৃণমূল। তার আগেই নিজেদের আয়-ব্যয়ের হিসেব জমা দেয় সিপিএম। তাতে দেখা যাচ্ছে, দলের বাৎসরিক আয়ে প্রায় ১৫ কোটি টাকার ব্যবধানে তৃণমূলকে পিছনে ফেলে দিয়েছে সিপিএম।
তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। সে বছর তৃণমূলের আয় ছিল প্রায় ১৯১ কোটি ৬০ লক্ষ টাকা। সে বার কোনও রকমে ১০০ কোটির গণ্ডি পেরোতে সফল হয়েছিল সিপিএম। ২০১৮-২০১৯ অর্থবর্ষে তাদের আয় ছিল ১০০ কোটি ৯৬ লক্ষ টাকা। অর্থাৎ এক বছর আগে সিপিএমের থেকে ৯০ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা বেশি আয় ছিল তৃণমূলের। ২০১৮-১৯ সালে ৭৬ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা খরচ করেছিল সিপিএম। সেই তুলনায় তৃণমূলের খরচ ছিল নামমাত্র। মাত্র ১০ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা।।
দেশের রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচন কমিশনে শেষ যে অডিট রিপোর্ট জমা দিয়েছে তা ২০১৯-২০ সালের। এই রিপোর্টই সদ্য প্রকাশ করেছে কমিশন। ওই বছরেই দেশে ছিল লোকসভা নির্বাচন।
বিভিন্ন দলের পেশ করা হিসাবে দেখা যাচ্ছে, বাকি সব দল মিলে যা আয় করেছে ২০১৯-২০ সালে, একা বিজেপির আয় ছিল তার দ্বিগুণের বেশি। ৩,৬২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২,৫৫৫ কোটি টাকা বিজেপি পেয়েছে ইলেক্টোরাল বন্ড থেকে।
আনন্দ বাজার এর সৌজন্যে