
বিদেশে অর্থপাচারের ঘটনায় আদালতের নির্দেশে শুধু পুলিশের মহাপরিদর্শক প্রতিবেদন দিয়েছেন। বাকি ১৩ বিবাদী আট মাসেও প্রতিবেদন না দেওয়ায় উষ্মা প্রকাশ করেছেন উচ্চ আদালত।
পুলিশের পক্ষ থেকে প্রতিবেদন দেওয়ার পর বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বাকি ১৩ বিবাদীকে প্রতিবেদন দিতে ২১ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আব্দুল কাইয়ুম খান।
বিদেশি ব্যাংক, বিশেষত সুইস ব্যাংকে পাচার করা ‘বিপুল পরিমাণ’ অর্থ উদ্ধারের যথাযথ পদক্ষেপের নির্দেশনা চেয়ে গত ১ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়।
এ মামলায় ১৪ নম্বর বিবাদী ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক। এ আদেশ অনুসারে সিআইডির দেওয়া এসব তথ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের পক্ষে গত ১২ জুলাই অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়।
প্রতিবেদনে ৩১০ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৪৮ টাকা এবং ১০১ মিলিয়ন ইউএস ডলার পাচারের কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কা থেকে ৩৪ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে। বাকি অর্থ উদ্ধারে যেসব দেশে পাচার হয়েছে, তাদের মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিস্ট্যান্সের মাধ্যমে অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন ২০০৬ ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ১০১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ভারত ও ফিলিপাইনে পাচার করার কথাও বলেছে সিআইডি। এর মধ্যে ফিলিপাইন ও শ্রীলঙ্কা থেকে ৩৪ দশমিক ৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।
রোববার প্রতিবেদন গ্রহণ করে আদালত বলেন, কেন আদালতের আদেশ প্রতিপালন করা হয়নি? শুধু পুলিশ আদেশ প্রতিপালন করেছে। বাকিরা কোথায়?
আদালত আরও বলেন, এটা ঠিক নয়, আমরা কোর্ট একটা আদেশ দিলাম। আমরা রুল দিয়েছি গত ২৮ ফেব্রুয়ারি। প্রায় এক বছর হয়ে গেল রুলের জবাবটাই দাখিল করা হলো না। আর কী বলবো? এ নিয়ে কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না।